থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আর কি নিয়ে এই যুদ্ধ জেনেন? যদি না জানেন তাহলে বলি - ভারত পাকিস্তানের মতো তাদের ও গলার কাঁটা সেই বিতর্কিত সীমানা নিয়ে! দুই দেশের সীমানা বরাবর যেসব প্রাচীন মন্দির গুলি আছে তাদের মালিকানা দাবি করে দুই দেশ অনেকদিন ধরেই এক ঠান্ডা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলো, শেষমেশ তারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়! বৃহস্পতিবার রাতেই এই সংঘাত আরও তীব্রতর হতে শুরু করেছে। ভয়ঙ্কর স্থল মাইন, কামান, ও বিমান হামলার ও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে স্থল মাইন বিষ্ফোরনে পাঁচজন থাই সেনা গভীর ভাবে আহত হওয়ার ঠিক পরেই দুই দেশের মধ্যেকার এই উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এবং এই ঘটনার পরেই থাইল্যান্ড তাদের দেশ থেকে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত কে বহিষ্কার করে, এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার পালটা দেয় কম্বোডিয়া ও, কম্বোডিয়া ব্যাংকক থেকে থাই রাষ্ট্রদূত কে বহিষ্কার করে, এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমস্তরকম কূটনীতিক ব্যবস্থা ছিন্ন করে।
এই ঘটনার পর থেকেই সুরিন এবং ওদ্দার মিঞ্চের সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বলে জানা যাচ্ছে। একটি থাই F-16 ফাইটার জেট কম্বোডিয়ায় হামলা চালিয়েছে বলে ও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তা মোয়ান থম মন্দির ও মুয়েন মন্দির সংলগ্ন সীমানা দুই দেশ বরাবরই তাদের নিজেদের সীমান্ত বলে দাবী করে আসছে, বৃহস্পতিবার ভোরে এই দুই মন্দির সংলগ্ন সীমানা বরাবর দুই দেশ মুখোমুখি হয়। থাইল্যান্ড সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী প্রথমে বর্ডারে একটি তারা একটি ড্রোন কে উড়তে দেখে, এবং ঠিক তার পরক্ষনেই কম্বোডিয়ার সৈন্য রা গুলি চালায়, এবং এর জবাবে থাই সৈন্য রা'ও গুলি চালাতে শুরু করে। তবে কম্বোডিয়ায় সৈন্য রা দাবী করছে যে প্রথমে থাইল্যান্ড তাদের ওপর আক্রমণ করে, এবং এর জবাবে কম্বোডিয়ার সৈন্য রা তাদের এই আক্রমণ কে প্রতিহত করে।
থাইল্যান্ডের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানাচ্ছেন যে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা গোলাবর্ষণের ফলে একজন সাধারণ নিরীহ থাই নাগরিক নিহত হয়েছেন, এবং বছর পাঁচেকের এক ছোট্ট থাই শিশু সহ আরো তিন জন সাধারণ থাই নাগরিক গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে।
থাই সেনাবাহিনীর দ্বারা একটি ফেসবুক পেজে দাবী করা হচ্ছে যে তাদের সামরিক বাহিনীর সাতজন অফিসার গুরুতর জখম হয়েছেন, এবং তারা আরও দাবী করছে যে তারা সুরিনের কাপ জোয়েং জেলায় বি.এম -২১ রকেট দ্বারা সিভিলিয়ান এলাকায় আঘাত হেনেছে।